মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চোখতোলা-ধর্মচাকী রাস্তার কার্পেটিংয়ে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ফলে ১২ঘন্টা পার হতে না হতে খোয়া উঠতে শুরু করেছে। চোখতোলা ধর্মচাকী ১৫০০মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল দিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করেন। প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কেউ তা কর্ণপাত করেননি। গত বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শেষের মাত্র ১২ঘন্টার মাথায় রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গেলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
রাস্তা নির্মানে অনিয়ম হলে গত শনিবার বিকেলে কাজের সাইডে দেখা গেছে নির্মাণকৃত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় প্রকৌশলীর নির্দেশে সংস্কার করছেন ঠিকাদার।
সৈনিক লীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া বলেন, কাজটি করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার মকলেছুর রহমান। রাস্তাটি পাইলিং এজিংগের সময় রাস্তার পার্শে আড়াই ইঞ্চি দূরে দূরে ইট দেওয়া হয়েছে। এছাড়ও ২নংও ৩নং ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটিতে কার্পেটিংয়ে কাজ চলছে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহার করার কারণে ১২ঘন্টা পার হতে না হতে খোয়া উঠতে শুরু করেছে।
রাস্তায় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলেও উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ কাজ তদারকী না করে অফিসে বসে থাকেন। এ কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলে বলেন, ঠিকাদার মকলেছুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি নির্মাণ করছেন সে রাস্তায় নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা করেছে। বর্তমানে কার্পেটিংয়ে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহার করছে। ফলে রাস্তার খোয়া উঠতে শুরু করেছে।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ যোগদান করার পর থেকে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা নির্মানে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি এলাকাবাসী এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মখলেছুর রহমান জানান, কাজ খারাপ করা হয়নি। বিটুমিনের চেয়ে মবিলের দাম বেশী। তাই বিটুমিন কম দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ সঠিক না। অন্যান্য জায়গার তুলনায় কাজ ভাল হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান, রাস্তায় বিটুমিনের পরিমাণ কম দেয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। গত শনিবার আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কোন কোন জায়গায় কিছুটা খারাপ ছিল। আমি আমার কর্মীকে নির্দেশনা দিয়েছি। এখন থেকে আর রাস্তার কাজ নি¤œমানের হবে না। ১মাস না হলে বোঝা যাবেনা।