নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা ১০ দিনের তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শেষে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। গতকাল শনিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত শুক্রবারের তুলনায় ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
সকাল থেকে রোদ ও মেঘের লুকোচুরিতে তাপমাত্রার পারদ নামায় জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। এবার শুরু হয়েছে বৃষ্টির জন্য ক্ষণগণনা। তবে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টির দেখা পেতে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে ৬ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৫ শতাংশ।
পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই মেঘের আনাগোনার কারণে সূর্য ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো রোদ ফেলতে পারেনি। ভূপৃষ্ঠ সেভাবে উত্তপ্ত হতে না পারায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা এত কমে গেছে। রোববার তাপমাত্রা একই থাকার সম্ভাবনা আছে, কমার লক্ষণ নেই। ৬ মে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরে এপ্রিলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪০ ডিগ্রির ওপর তাপমাত্রা বেড়েছে ১০ দিন এবং গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে এপ্রিল মাসের ধারাবাহিকতায় মে মাসের প্রথম তিন দিন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। ১ মে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২ মে ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩ মে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। প্রথম দুদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। তবে গত বছরের মে মাসের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৩৪ ডিগ্রি ও ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তিন দিনই ছিল স্বাভাবিক তাপমাত্রা। এ ছাড়া ১ মে ৭ মিলিমিটার ও ২ মে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। গত বছর মে মাসে মাত্র তিন দিন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে।
কর্মকর্তারা বলছেন, মে মাসেও গতবারের তুলনায় তাপমাত্রা বেশি এবং বৃষ্টি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।