নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় আবারও বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। উষ্ণ হচ্ছে প্রকৃতি। গতকালও এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৪৬ শতাংশ। এরই মধ্যে দুই দিনের হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে, টানা প্রায় ৩৭ দিন এ জেলায় মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর চলতি মাসের ৬ তারিখে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পায় জেলাবাসী। সে বৃষ্টিতে গরমের নাভিশ্বাস থেকে মুক্তি পায় মানুষ। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহ তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে ছিলো। গত তিন দিন ধরে আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৪৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশী থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হওয়ার আভাস রয়েছে। এ কারণে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার বিকেলে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার, ভোলা এবং পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত হতে পারে।