আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার জামজামি বাজারের চাঁদসী ক্ষত ডাক্তারের হাতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তোফাজ্জেল আলী নামের ভ্যানচালক ওই রোগী বাদেমাজু গ্রামের মৃত জলিল খা’র ছেলে। গতকাল বুধবার সকালে তোফাজ্জেল আলী তার কুঁচকিতে গজিয়ে উঠা ফোঁড়া চিকিৎসার জন্য জামজামির নগেন্দ্র নাথ নামের চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি গাড় অপারেশন করলে আর রক্ত বন্ধ হয়নি। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, বাদেমাজু গ্রামের মৃত জলিল খা’র ছেলে তোফাজ্জেল আলী (৪০) ভ্যানচালক। সম্প্রতি তার কুঁচকিতে বড় ফোঁড়া হয়। তা চিকিৎসার জন্য বুধবার সকালে তিনি জামজামি বাজারের চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসক নগেন্দ্রনাথের কাছে যান। তিনি অপারেশন করেন। অপারেশনের পর আর রক্ত বন্ধ হয়নি। বেলা ১১ টার দিকে নগেন্দ্রনাথ রক্ত বন্ধ চেষ্টায় হাল ছেড়ে দিলে রোগীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথিমধ্যে তার মৃত্যু ঘটে।
এদিকে, এলাকাসূত্রে জানা যায়, অপারেশনের পর রক্ত বন্ধ না হলে নগেন্দ্রনাথ নিজের বুকের ব্যাথার অজুহাত তুলে দ্রুত পালিয়ে যান। তবে,পরিস্থিতি ম্যানেজ করতে স্থানীয় কয়েক অতি উৎসাহী ব্যক্তি মাঠে নামেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের অনেকে দরিদ্র ভ্যানচালকের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে মামলা ঠেকানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করেনি পরিবার। তবে তোফাজ্জেল আলীর স্ত্রী আমেনা খাতুন চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাঈদ জানান, গাড় জাতীয় সব ফোড়া গাড় নয়। তাছাড়া, শরীরের সকল জেনারেল আর্টারি রয়েছে কুঁচকিতে। কাজেই ওই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অপারেশন করতে হলে অভিজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, নগেন্দ্রনাথের বাড়ি পাবনায়। প্রায় ৪০ বছর পূর্বে তিনি জামজামি চলে আসেন। এখানে তিনি চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চর্মরোগের চিকিৎসা করে আসছেন। তিনি নিরক্ষর। প্রেসক্রিপশন পড়তে কিংবা লিখতে পারেন না বলে এলাকাবাসীর অনেকে জানিয়েছেন।