নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত আইনজীবীদের সাথে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ওপর নেটওয়ার্কিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শহরের মালোপড়াস্থ ওয়েফ ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান প্রধান অতিথি ও রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্র্যাকের রিসোর্স পার্সন হিসেবে আহসান হাবীব প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির জেলা ম্যানেজার সরদার আব্দুর রউফ, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মানিক ম্যাক্সিমিলিয়ান রুগা, জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডায়াভার্সিটি প্রোগ্রামের রিজিওনাল ম্যানেজার নাহিদুজ্জামান, ব্যাকের ল’ ইয়ার বিল্লাল হোসেন এবং জেলায় কর্মরত প্যানেল আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি সিভিল সার্জন সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা নির্মূল করতে হবে। সেইজন্য আইনজীবীসহ সকল পেশার মানুষ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রোগীদের চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার। একটানা ওষুধ খাওয়ার পর আর ওষুধ খেতে চাইনা। কাশি ও শ^াসকষ্ট চলে যায়, খাবো না। প্রথম পর্যায়ে যক্ষা রোগ নির্ণয় হলে রোগ সারবে। ওষুধ যে খাওয়াবে সে সরকারি লোক। এভাবে নিয়মিত ওষুধ খায় তাহলে রোগ সেরে যাবে। পুষ্টির অভাবে যক্ষা হয়। পুষ্টিযুক্ত খাদ্য এন্ট্রিবডির কাজ করে। যক্ষা ফুসফুস ও শরীরের অন্যান্য অংশে হয়। যক্ষা ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। যক্ষার রোগ নির্ণয় ও ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়। রোগীর আন্তরিকতা দরকার। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। সভায় জানানো হয়, বিশে^ ৩০ টি দেশ যক্ষা রোগে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে শীর্ষ ৮ এ। ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ অংশ ভারত দ্বারা বেশিষ্ট। সেইজন্য সীমান্ত এলাকায় যক্ষার হার বেশি। প্রতি লাখে ২১১ জন রোগী যক্ষায় আক্রান্ত। মারা যায় প্রতি লাখে ২৫ জন। শতকরা ৭৫ ভাগ ফুসফুসের যক্ষায় ভোগে এবং শতকরা ২৫ ভাগ অন্যান্য অংশে ভোগে। চুল, দাঁত ও নখ বাদে শরীরের সব অংশে যক্ষা রোগ হতে পারে। ৬ থেকে ৯ মাস ওষুধ খেতে হয়। ৯৭ ভাগ রোগী সুস্থতার হার বর্তমানে আছে। চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে ১০০০ হাজার যক্ষা রোগী আছে। ৯৭১ জন কর্মী স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছে। যক্ষা পরীক্ষার জন্য আলমডাঙ্গার জেহালা স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, দর্শনার মেমনগর স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, চুয়াডাঙ্গা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে এবং গ্রাম্য পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে যক্ষার আধুনক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল রোডে ব্র্যাকের নিজস্ব সেন্টারে কফ টেস্ট ও এক্সরে বিনামূল্যে নির্ণয় করা হয়।