নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েকদিন ধরেই মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবন দখল করার অভিযোগ আসছে। সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনুস সেন্টার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তার আশেপাশে অবস্থান নিয়েছিলেন সুশীল সমাজের কয়েকজন। যারা সরকারবিরোধী ‘সুশীল সমাজ’হিসেবে পরিচিত। এদের মধ্যে ছিলেন আলোকচিত্রী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক, লেখক-সাংবাদিক ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার।
আলোকচিত্রী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম। তিনি এর আগে সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে জেলে গিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সামাজিক মাধ্যমে লাইভে এসে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়া তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এতে বেশ কিছুদিন তিনি কারাগারে ছিলেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালে শহিদুল হককে কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিনা অনুমতিতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে জিরো লাইন অতিক্রম করার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নারী আন্দোলন কর্মী শিরীন হক। তিনি গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী। ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বরাবরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ছিলেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রায় প্রতিদিনই উপস্থিত থাকতেন এবং সরকারের কঠোর সমালোচনা করতেন।
এসময় আরও ছিলেন, লেখক-সাংবাদিক ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার। ফরহাদ মজহার বিভিন্ন সময় নিজের উস্কানিমুলক কীর্তিকলাপ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার প্রেক্ষিতে আলোচনায় এসেছিল। ২০১৩ সালে ‘সাংবাদিকদের ওপর বোমা হামলার উসকানি প্রদানের’ অভিযোগে ফরহাদ মজহারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)। সাংবাদিকদের ওপর হামলার সরাসরি উসকানিদাতা হিসেবে ফরহাদ মজহারকে ‘গণমাধ্যমের শত্রু’ বলে আখ্যা দিয়ে তাঁকে বিচারের আওতায় নেওয়ার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
বিএনপি প্রীতি এবং আওয়ামী লীগের প্রতি সীমাহীন ক্ষোভ বয়ানকারী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল। তিনি প্রায় প্রতিদিনই আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচনা করেন তবে বিএনপি নিয়ে তেমন কিছু বলেন না। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তার সমর্থন তার বিভিন্ন লেখা থেকেই জানা যায়। নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মামলাকে কেন্দ্র করে তাকে দেখা গেছে পাশেই। তবে সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন না।