কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে জানলাতে তিনি মৃত
চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক:
আব্দুল হালিমের সবকিছুই চলছিলো ঠিকঠাক। চাকরি থেকে ব্যক্তিগত জীবনও ছিল স্বাভাবিক। সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে যেয়ে বিপাকে পড়েন আব্দুল হালিম। ভ্যাকসিনের জন্য তার নিবন্ধন প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। নিবন্ধন না হওয়ার কারণ জানতে তিনি নির্বাচন অফিসে খোঁজ নেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি বেঁচে নেই। আব্দুল হালিম জীবিত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের তালিকায় তিনি মৃত; তাই তার নামে কোভিড-১৯ অনলাইন নিবন্ধন সম্পূর্ণ হয়নি। শুধুই কি কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত! নির্বাচন কমিশনের এমন ভুলের কারণে মেয়ের উপবৃত্তির টাকাও উত্তোলন করতে পারছেন না তিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তাদের সংরক্ষিত তথ্য বাতায়নে আব্দুল হালিমকে মৃত উল্লেখ করলেও তিনি বিটিসিএলের চুয়াডাঙ্গার জীবননগর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে জুনিয়র লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। এদিকে জীবিত আব্দুল হালিমকে নির্বাচন কমিশন মৃত দেখানোর কারণে প্রতিনিয়ত তাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম জানান, বিটিসিএলের জুনিয়র লাইনম্যান হিসেবে আব্দুল হালিম চুয়াডাঙ্গার জীবননগর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন। আব্দুল হালিম বর্তমানে জীবননগর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে চাকুরি করেও নির্বাচন কমিশন তাকে মৃত উল্লেখ করেছে। আব্দুল হালিমের পিতার নাম মোঃ আজগর মালিথা, মাতার নাম মোছাঃ হালিমা খাতুন, জন্ম তারিখ ৩০ নভেম্বর ১৯৭৬, জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৫০১৭৯৮৮৪৩৫০০৪ গ্রাম খেজুরতলা, ডাকঘর: হালসা-৭০৩১, উপজেলা-কুষ্টিয়া সদর, জেলা-কুষ্টিয়া। জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের তারিখ ২০ মে ২০০৮ খ্রি.। চাকুরি করার সুবাদে আব্দুল হালিম পরিবার পরিজন নিয়ে জীবননগরে বসবাস করছেন।
আব্দুল হালিম দাবী করেন, নির্বাচন কমিশনের এই ভুলের জন্য প্রতিনিয়ত মাশুল দিতে হচ্ছে তাকে। এই ভুলের কারণে তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া তার কন্যার উপবৃত্তির টাকাও উত্তোলন করতে পারছেন না। এ অবস্থায় আব্দুল হালিমকে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে জীবিত দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।