ঝিনাইদহ অফিস:
টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করছেন না চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ জন্য তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবক। মনিরুল ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে। উকিল নোটিশে ৩০ দিনের মধ্যে ধারকৃত টাকা পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। ঝিনাইদহ জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মো: আব্দুল খালেক সাগর খবরের সত্যতা নিশ্চত করে বুধবার জানান, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুত্র ধরে দামুড়হুদা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালে চেক ও বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ৫৭ হাজার টাকা ধার নেন মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে। ৬ মাসের মধ্যে ধারকৃত টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রতি দেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু টাকা না দিয়ে তিনি টালবাহানা করছেন। নিচ্ছেন প্রতারণা ও ছলচাতুরির আশ্রয়।
মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি কর অফিসে চাকরী করার সুবাদে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ দামুড়হুদা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সোনালী ব্যাংক দামুড়হুদা শাখা বি-২৪৬ নং চালানের মাধ্যমে ৫০ হাজার ও একই বছরের ২ জুন বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা নেন। কিন্তু ধারকৃত টাকা তিনি দিচ্ছেন না। ফলে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে গতরাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উকিল নোটিশ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি দাবি করেন টাকা ধারের অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আইনগতভাবেই উকিল নোটিশের জবাব দিবেন বলে জানান আবদুল্লাহ আল মামুন।