চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রক মেলন (সাম্মাম) চাষে সফল হলেও লকডাউনের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ কৃষক আরিফুল ইসলাম বাবু। সে দর্শনার আনোয়ারপুরের দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে বানিজ্যিক ভাবে এ ফলে চাষ করেছিলেন। তবে লকডাউনের করণে ঢাকার বাজারে ফলের চাহিদা কম থাকায় দাম না পেয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রতিকেজি ফলের পাইকারী দাম ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা থাকলেও এবছর চাহিদা না থাকায় তার জমির ফলগুলো ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কৃষক আরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, এবছর তার ১বিঘা জমিতে তৈরী থেকে শুরু করে ফল বিক্রয় পর্যন্ত তার ৫০ হজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তিনি এক বিঘা জমির রক-মেলন বিক্রি করেছে ৩০ হাজার টাকায়। লকডাউনে ঢাকাসহ দেশের ফলের বাজার খারাপ হওয়ায় ফলের চাহিদা কম। ফলে ব্যবসায়ীরাও অল্প দামে রক-মেলন কিনছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠপর্যায়ের কৃষকরা।
তিনি আরো জানান, রক মেলনের শুধু ভাইরাসজনিত রোগ বাদে রোগবালাই তেমন নেই। গাছে খুব সামান্য সার ও কীটনাশক দিতে হয়। আর এ ফলে গাছের সঠিক চাষাবাদ এবং নিয়মিত ফুলের পরাগায়ন হলে একেকটি গাছ থেকে বেশ কয়েকটি ফল উৎপাদন করা সম্ভব। তবে ফলের ওজনে লতা ছিঁড়ে পড়ার ভয়ে একটু বড় হওয়ার পরপরই ফলগুলো ব্যাগিং করতে হয়। প্রতিদিনই তার ক্ষেতে ২-৪ জন শ্রমিক কাজ করে।
দামুড়হুদা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (দর্শনা ব্লক) ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘আমি তার বাগান পরিদর্শন করেছি। তার ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম না ব্যাপারটি দুঃখজনক।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, সাম্মাম ফলটি অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। তবে চলমান লকডাউনে বাজার ব্যবস্থার কারনে ফল সরবারাহ করা যাচ্ছেনা। এতে চাহিদা থাকলেও বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে ফল বিক্রি না হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না।