কুষ্টিয়া প্রতিবেদক:
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ডিলু মিয়া (২১) নামে এক লাইনম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমসহ চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী সোহরাব আলী বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম এনামুল হক, এজিএম মহিদুল ইসলাম মেহেদী, জুনিয়র প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও লাইনম্যান মনির হোসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা সংলগ্ন মজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান লাইনম্যান ডিলু মিয়া। তার মরদেহ খুঁটিতেই ঝুলে ছিল। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরি) রঞ্জন কুমার ঘোষকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার কারণেই ডিলু মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সংযোগ বন্ধ নিশ্চিত না করেই লাইনম্যান ডিলু মিয়াকে মেরামত কাজ করতে খুঁটির ওপরে ওঠানো হয়। এতে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। নিহত ডিলু মিয়া পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাউলচারা মাস্টারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি মিরপুর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী সোহরাব আলী বিশ্বাস বলেন, অনাকাক্ষিত এই ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোষীদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে মিরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রুহুল আমীন বলেন, মিরপুর থানা সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে কাজ করার সময় ডিলু মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তিনি খুঁটিতেই ঝুলে ছিলেন। এ অবস্থা দেখে তার সহকর্মী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডিলুকে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।