নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সাবেক স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে স্ত্রী সীমা আক্তারের মুখমণ্ডল। গতকাল মঙ্গলবার দুপরে শহরের পুলিশ পার্কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে গুরুতর জখম স্ত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া মনিরামপুর গ্রামের মামুনের (৩০) সাথে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার ছয়খাদা গ্রামের মুনসুর আলীর মেয়ে শিমা আক্তারের (২৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে তাদের সাংসারিক জীবনে সংকট শুরু হয়। এরইমধ্যে বিজিবি থেকে চাকরিচ্যুতও হয়েছে মামুন। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ১৮ দিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের দুজনের। এরপর তারা দেখা করলে ঘটে এ ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের ১৭ দিন পরে সাবেক স্ত্রীকে কৌশলে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্কে ডেকে নেয় মামুন। বিবাহ বিচ্ছেদের সূত্র ধরে মামুন ও সীমার মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে সীমা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখে আঘাত করে মামুন। এতে গুরুতর জখম হয় সীমা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুখের দু পাশের গাল থেকে শুরু রক্তক্ষরণ হয়। গৃহবধূ সীমার আত্মচিৎকারে পার্কে অবস্থান করা জনতা ছুটে এসে সীমাকে উদ্ধার করে। একই সাথে অভিযুক্ত মামুনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে পার্কের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সীমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, দু জনের বাকবিতণ্ডার জেরে মামুনের হাতে থাকা ধারালো চাবির রিং দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত হয় শিমা। মামুনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।