স্পোর্টসডেস্ক: দলের ব্যাটিং ইনিংসে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ঝড়ো ইনিংস খেললেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, করলেন ৩৮ বলে ৫৫ রান। রান আসেনি মিডলঅর্ডারের কারও কাছ থেকে। শেষদিকে ঝড়ো ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। তারপরও মিনিস্টার রাজশাহী ৫ উইকেটে ১৪৫ রানের বেশি যেতে পারেনি। টানা তৃতীয় জয় তুলে নিতে জেমকন খুলনাকে করতে হবে ১৪৬ রান।
দুই দলের প্রথম সাক্ষাতের ম্যাচে খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল রাজশাহী। সেদিন খুলনা আগে ব্যাট করে পেয়েছিল ১৪৬ রানের সংগ্রহ। শান্তর ঝড়ো ফিফটিতে পাওয়ার জয়টিই এখনও পর্যন্ত হয়ে আছে রাজশাহীর শেষ জয়। তিন ম্যাচ হারের পর আজ খুলনার বিপক্ষে জয়ের খোঁজে নেমেছে তারা। কিন্তু পায়নি বড় সংগ্রহ।
টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত করে দ্বিতীয় ওভারেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম। রাজশাহীর ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন করেছেন ৪ বলে ১ রান। পরে পাওয়ার প্লে পার করেন নাজমুল শান্ত ও রনি তালুকদার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ১৭ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রনি।
তবে অপরপ্রান্তে ধরে রেখেছিলেন শান্ত। হাত খুলে খেলেছেন শুরু থেকেই। মাত্র ৩৩ বলে পূরণ করেন ব্যক্তিগত ফিফটি। কিন্তু এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহর করা ১৩তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন শামীম হোসেনের হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ের মারে ৫৫ রান।
আগের ম্যাচগুলোতে ঝড় তুললেও এদিন হতাশ করেছেন শেখ মেহেদি হাসান, ১৫ বল খেলেন করেন মাত্র ৯ রান। শেষ ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করলেও, আজ ৯ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি ফজলে রাব্বি মাহমুদ। শেষের ৬ ওভারে আর উইকেট হারায়নি রাজশাহী। নুরুল হাসান সোহান ও জাকের আলি অনিকের জুটিতে আসে ৩৭ বলে ৫২ রান।
যেখানে বড় অবদান ছিল সোহানের। আলআমিন হোসেনের করা ১৯তম ওভারে দুইটি করে চার ও ছক্কায় তুলে নেন ২২ রান। তবে শেষ ওভারে একটি করে বাই ও লেগবাই মিলিয়ে মাত্র ৩ রান খরচ করেন হাসান মাহমুদ। তার ৪ ওভারে আসে মাত্র ১৬ রান। সোহান অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৩৭ রান করে, অনিকের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ১৫ রান।