জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানের ওপর হেলমেট বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দ্বিতীয় দফায় হামলার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কেউ কোন অভিযোগও দায়ের করেননি। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে পুলিশ এখন পর্যন্ত হেলমেট বাহিনী দুর্বৃত্তদের আটক করতে না পারার কারণে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে হামলাকারীদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।
জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাতে হেলমেট পরিহিত দু’জন ব্যক্তি আব্দুল হান্নানের সন্তোষপুর বাসার সামনে হামলা চালায়। সেদিন বাম হাতে চোট পায়। এ বিষয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান। তবে অভিযোগটি বিজ্ঞ আদালতে পৌঁছালে বাদী পক্ষ হাজির না হওয়ায় সেটি খারিজ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় হামলা হয় গত ২৮ মে সকালে। তিনি ওইদিন দর্শনা থেকে বাজার করে ইউনিয়ন পরিষদের ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আকন্দবাড়িয়া আবাসন পার হয়ে আমতলা নামক স্থানে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে হেলমেট পরিহিত দুজন ব্যক্তি তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাত করে রক্তাক্ত ভাবে জখম করে। এতে তাঁর ফুসফুসে আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে গত ২৯ মে তার ফুসফুসে অস্ত্রপচার করা হয়। দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আব্দুল হান্নান বা পরিবারের কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে আব্দুল হান্নানে চিকিৎসাধীন থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ছেলে রাব্বি জানান, প্রথম ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং দ্বিতীয় ঘটনায় তিনজন সাক্ষীসহ একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোন আসামি সনাক্ত বা গ্রেপ্তার হয়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানা কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে আমরা কাজ শুরু করেছি। ঘটনার শুরু দর্শনা এলাকায় আমার সেখান থেকে এবং সন্তোষপুর এলাকা থেকে কিছু সিসিটিভি’র ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এছাড়াও আমরা ৪/৫ টি ধাপে তদন্ত করেছি। এটি আমাদের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে এসপি মহোদয়সহ আরও অন্য টিম কাজ করছে। তিনি আরও জানান, আমরা সকল প্রকার কার্যক্রম চালাচ্ছি, আশা করি খুবই দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।