নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন আইনজীবীরা। সভায় গতকাল সোমবার একদিনের জন্য আইনজীবীদের কর্মবিরতি পালন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মহ: শামসুজ্জোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন সঞ্চালনা করেন। সাধারণ সভায় হাজী অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন। সভায় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান ও এমএম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রফিউর রহমান, শামিম রেজা ডালিম ও আবুল বাসার, সিনিয়র আইনজীবী ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, শহিদুল হক, রফিকুল আলম রান্টু, নাজমুল হাসান লাভলু, মোসলেম উদ্দিন ও মানি খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাইকেলস্ট্যান্ডের কর্মচারী আলাউদ্দীন গত ৯ জুন বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এনজিও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের চার কর্মকর্তা-কর্মচারী দর্শনার গিরিশনগরের হানেফ আলী মন্ডলের ছেলে মুক্তার হোসাইন, দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের সামছুল হকের ছেলে সোলায়মান, দামুড়হুদা কেশবপুরের রহিম বক্সের ছেলে হাসান আলী এবং ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চিতলিপাড়ার শক্তিপদ শর্মার ছেলে সুব্রত কুমার শর্মাকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ জুন আইনজীবী সমিতির সাইকেলস্ট্যান্ডে ওই চার কর্মচারী লোনের কিস্তির টাকা আদায় করতে যান। এসময় আলাউদ্দীনের বলেন আমি কিস্তি পরে দেব, এখন সম্ভব নয়- বললে আলাউদ্দীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও বলে আমাদের কাজ নাই বারবার তোর কাছে আসবো। এক পর্যায়ে গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামিরা মুখ বরাবর ঘুষি মারে। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন সাইকেল স্ট্যান্ডে গেলে সেখানে আলাউদ্দীনের মারধোরের ঘটনা জানতে চাইলে আসামিরা ফিরে এসে অ্যাড. তালিম হোসেনের নাকে ঘুষি মারেন। এঘটনায় স্থানীয়রা তাদেরকে ধরে পুলিশে দেয়। পরে আসামিদের নামে মামলা হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গার আইনজীবীরা একদিনের জন্য কর্মবিরতি পালন এবং আসামিদের দৃষ্টান্ত শাস্তিমূলক শস্তি দাবি করেন।