নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য অক্ষুন্ন রেখে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা ও কোরবানীকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া জাতীয় সম্পদ। এ চামড়া বিক্রির টাকা সমাজেরই দুস্থ দরিদ্র্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ফলে চামড়ার উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করা যেমন ব্যবসায়ীদের নৈতিক দায়িত্ব, তেমনই চামড়া যাতে কেটে বা পড়ে থেকে পঁচে নষ্ট না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত। তিনি কোরবানির পশু কোরবানি দেয়ার পর বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণে পৌর প্রশাসনকে আন্তরিক হওয়ার পাশাপাশি কোরবানি দাতাদের দায়িত্বশালতার পরিচয় দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কোরবানির বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করলে তার ক্ষতিকর প্রভাব মহল্লাবাসীর ওপর পড়ে। রক্ত ড্রেনে না দিয়ে মাটিতে পুঁতে দেয়া ভাল। ড্রেনে দিলে মশার উপদ্রব বাড়ে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুহাটগুলোর দিকে উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের বাড়তি নজরদারির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, একজন কৃষক বা খামারিকে একটি গরু কিংবা ছাগল ভেড়া মোষ পালনে প্রচুর পরিশ্রম করার পাশাপাশি প্রচুর অর্থও ব্যয় করতে হয়। অনেক কৃষক, অনেক খামারির পালিত পশু বিক্রি করে অর্জিত টাকা নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন থাকে। কোন কারণে ওই স্বপ্ন যাতে ভেঙে না যায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। টাকার জাল নোট কারবারী ও অজ্ঞানপার্টি চক্রের উৎপাত তথা অপতৎরতা বন্ধে পুলিশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিশেষ করে সোনালী ব্যাংককে উদ্যোগ নিতে হবে। পশুহাটে নেয়া এবং বিক্রিসহ আনার পথে যাতে কোন প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।
সভায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম সেবা), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন উপস্থিত থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন।