নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি শুনানী এবং নিষ্পত্তি হয়েছে। ৯৪৯ জন ভোটারের মধ্যে ১২০জন ভোটারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবন মিলনায়তনে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে অভিযোগকারী এবং অভিযোগকারীদের পক্ষে প্যানেল আইনজীবীরা অংশ নেন। এর আগে কয়েকজন সাধারণ সদস্য খসড়া ভোটার তালিকার ৪১৪ জন ভোটারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে শেষ পর্যন্ত আপিল বোর্ড ১০৫ জন সাধারণ সদস্য ও ১৫ জন সহযোগী সদস্যকে বাতিল ঘোষণা করেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার আপত্তি শুনানী ও নিষ্পত্তি করার নির্ধারিত দিন ছিলো। এদিন বিকেল ৫টায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আপিল বোর্ড বসে চেম্বার ভবন মিলনায়তনে। নির্ধারিত সময়ে অভিযোগকারী ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা আপিল বোর্ডের শুনানীতে অংশ নেন। শুনানী করেন তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়্যারম্যান অ্যাড. মো. শাহজাহান মুকুল, সদস্য অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন ও সদস্য তসলিম উদ্দীন ফিরোজ।
খসড়া ভোটার তালিকার ৬৯৯ জন সাধারণ ভোটারের মধ্যে আপত্তি থাকা ২৬৭ জন ও ২৫০ জন সহযোগী ভোটারের মধ্যে আপত্তি থাকা ১৪৭ জনসহ মোট ৪১৪ জন ভোটারের প্রত্যেকের কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হয়।
আপিল বোর্ডের চেয়্যারম্যান অ্যাড. মো. শাহজাহান মুকুল বলেন, বাদ যাওয়া সদস্যরা আবারও আপিল করতে পারবে কিনা সেটা আমরা বলতে পারবো না। আপিল বোর্ডের দায়িত্ব আগামীকাল শুক্রবার (আজ) শেষ হবে। তবে নতুন করে কোনো অভিযোগ বা কোনো কার্যক্রম নেয়া বা দেয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। নির্বাচন কমিশন যে কাজগুলো করবে, সেই কাজের পছন্দ-অপছন্দ বিষয়গুলো আপিল বোর্ডের কাছে আপত্তি আকারে উস্থাপন করবে, সেটির সমাধান করাই আপিল বোর্ডের কাজ। বাতিল হওয়াদের বেশির ভাগের কারও কারও ট্রেড লাইসেন্স, কারও কারও টিন সার্টিফিকেট যথাযথ না থাকায় তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে। আমাদের কাছে আর কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কি নেই, এটা আপিল বোর্ডের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের কাছে দেখার বিষয় যথাযথভাবে টিন সার্টিফিকেট ও ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা। প্রতিষ্ঠান আছে কি নেই, সেটা ট্রেড লাইসেন্স প্রদানকারীর দেখার বিষয়।