আকাশ খবর ডেস্ক:
দেশে বিদ্যমান চতুর্মুখী অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আগামী অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে আঁটসাঁট বাজেট আজ ৬ জুন ঘোষণা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই বাজেটে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর বড় লক্ষ্য যেমন থাকছে, তেমনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কৃচ্ছ্রসাধন থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বাজেটতবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ থাকলেও আয় বাড়াতে উচ্চ করের চাপে তা চ্যালেঞ্জে পড়বে। এ ছাড়া উচ্চ প্রবৃদ্ধির আশা অব্যাহত থাকলেও পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর চাপে সীমিত উন্নয়ন ব্যয় বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার টাইট বাজেটে সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
সাবেক অর্থমন্ত্রীদের উচ্চাভিলাষী ব্যয়ের কারণে এখন টিকে থাকার লড়াই করবেন নতুন অর্থমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। আগামী বাজেটে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে বেশি মনোযোগ দেবেন—এমন কথা আগে থেকেই বলে আসছেন তাঁরা। করোনা মহামারি থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দায় দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক এই সংকটের মধ্যেই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৮২ বছর বয়সে এই বাজেট পেশ করে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। তবে দেশের অর্থনীতিতে টানাপড়েনের এই সময়ে সমস্যার এক বিশাল বোঝা তাঁর কাঁধে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কেমন নতুন কৌশল সামনে নিয়ে আসেন, সেটিই দেখার বিষয়।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। এটি চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও প্রথম বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবার বাজেটের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’।
সংসদের এই অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে তা পাস করা হবে। এরপর অধিবেশনজুড়ে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যরা। ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাজেটের প্রভাব থাকবে। সরকারকে এবার কী পরিমাণ কর দিতে হবে, তা থেকে কেমন সেবা পাওয়া যাবে, তার হিসাব মেলাবেন অর্থমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন ধরে আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতি রেখে বাজেট দিয়ে এসেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রীরা। এতে প্রতিবছর বাড়ছে বাজেটের আকার। এবার আকার বাড়লেও ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করছেন অর্থমন্ত্রী। তবে আগের ঘাটতি মেটাতে করা ঋণের বোঝা এখন বহন করতে সরকারের বাজেট ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে। বাজেটের আকার প্রতি অর্থবছরই যখন বাড়ছে, তখন ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্যও থাকছে না, যে কারণে বাড়ছে ঋণনির্ভরতা এবং যার সুদাসল দিতে চাপে পড়ছে সরকার। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর। বাজেটের বড় একটি অংশ আসে নাগরিকদের দেওয়া কর থেকে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থের জোগান সাধারণ মানুষ দিলেও বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত, যে কারণে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন বাজেটে তেমন দেখা যায় না। তবে আজ অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রত্যাশাপূরণের সংকটকালীন এই সময়ে বাস্তবমুখী প্রস্তাব তুলে ধরবেন—এমনটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
বাজেটউন্নয়ন ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করে বাজেট ঘাটতি সীমিত করা হলেও পরিচালন ব্যয় কমাতে কোনো কৌশল নিতে পারছেন না অর্থমন্ত্রী। এ কারণে উচ্চ প্রবৃদ্ধির আশা করা হলেও বাস্তবে বাজেট ব্যয়ে তার প্রতিফলন থাকছে না। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি, ভর্তুকি ও সামাজিক সুরক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে বাজেটে। আবার রাজস্ব আয় বাড়াতে বড় লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এতে দেশি শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। আবার ডলারের উচ্চ বিনিময় মূল্য ও ন্যূনতম পর্যায়ে রিজার্ভ থাকায় নিয়ন্ত্রিত আমদানিতে পণ্যের মূল্য বাড়লে সেদিক থেকে ব্যয়ের চাপ থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। সঙ্গে থাকছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নয়ন ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ। একই সময়ে ডলারের বিনিময় দরে অস্থিতিশীলতা এবং আমদানি-রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার সময়ে সংকোচনমুলক বাজেট প্রণয়ন করতে গিয়ে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ব্যাপকভাবে কমাতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কারণ অর্থের সংস্থান কমে আসার ফলে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর পরিকল্পনা থেকে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ টাকার অঙ্ক ও জিডিপির অনুপাত—উভয় দিক থেকেই চলতি অর্থবছরের চেয়ে কমবে।
জিডিপির তুলনায় ছোট হচ্ছে বাজেট
অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখিতাসহ চাপে থাকা সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যেই আগামী অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা জিডিপির ১৪.২০ শতাংশ। জিডিপির অনুপাতে এটি গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বাজেট। এর ফলে গবেষণা সংস্থা ও অর্থনীতিবিদরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করলেও চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে এই তিন খাতে বরাদ্দ বাড়ছে মাত্র ১২ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকোচনমূলক বলা হলেও সরকারের পরিচালন ব্যয় চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বাড়িয়ে পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৯৭১ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। মূলত বকেয়া ভর্তুকির চাপ বেড়ে যাওয়ায় নতুন অর্থবছরে এ খাতে এক লাখ ২০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে। সরকারের সুদ ব্যয় এবং সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দও বাড়ছে। ফলে সামগ্রিকভাবে সরকারের পরিচালন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে মূলধন ব্যয়, অর্থাৎ ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্তকাজ, শেয়ার ও ইকুইটিতে বিনিয়োগের জন্য ৩৭ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ১৯ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
ঋণ ও সুদের চাপ বাড়ছে
আগামী অর্থবছরের বাজেটে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরে সরকার দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ করবে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক নিট ঋণ ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যদিও বৈদেশিক ঋণ করা হবে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধের লক্ষ্য রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নেবে। এর মধ্যে ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক থেকে দীর্ঘ মেয়াদে ৯৫ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা এবং স্বল্প মেয়াদে ৬০ হাজার ১৯২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
রাজস্ব অর্জনে কঠিন চাপে থাকবে এনবিআর
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতি, ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির মন্থরগতিতে অর্থনীতি সার্বিকভাবে শ্লথ পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৪.৬ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই সময়ে রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করব্যবস্থা থেকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অতিরিক্ত ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের প্রত্যাশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আগামী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। এ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ করা অনেকটা দুরূহ হবে। এ অবস্থায় উচ্চ ঋণ নির্ভরতার মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে আগামী অর্থবছরেও ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন মহাসড়কে টোল বসানো হয়েছে। এর পরও সরকারের আয় বাড়াতে গতি আনতে পারেনি। আবার আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন সেবার ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর পরও চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরে এনবিআরবহির্ভূত কর এবং করবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হচ্ছে।
ভর্তুকি কমাতে পরিকল্পনা
নতুন অর্থবছরে বকেয়া ভর্তুকির চাপ থেকে সরকার ধীরে ধীরে বের হয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এ জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে ভর্তুকি পুরোপুরি প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও ভর্তুকি প্রত্যাহারে চাপ দিয়েছে। এ ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সামনে রেখে রপ্তানি প্রণোদনাও ২০২৬ সালের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।
উন্নয়নের চেয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় বাড়ছে
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আগামী বাজেটে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ব্যয়ের বিপরীতে সুদ, ভর্তুকি, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার মতো পরিচালন খাতে ব্যয় প্রাক্কলন করা হচ্ছে পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এবারের মূল বাজেটের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ছে মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা। সরকারের পরিচালন ব্যয় মেটানোর পর এডিপিতে প্রয়োজনীয় অর্থের সঞ্চালন করা আগামী অর্থবছরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিল্পের জন্য কর অবকাশ সুবিধা কমানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে এবং ক্রলিং পেগ সিস্টেম চালুর কারণে ডলারের দাম এরই মধ্যে সাত টাকা বেড়েছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। দেশি-বিদেশি ঋণের ওপর আরো বেশি নির্ভর কতে হবে। ভবিষ্যতে এই ঋণের বোঝা আরো বেড়ে যাবে। এ জন্য এখন থেকে সতর্ক থাকা উচিত। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন—একসঙ্গে দুটি অর্জন হবে না। মূল্যস্ফীতির কষ্ট কিছুটা রয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে সামাধানে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন।