জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আসাদুর রহমান বিশ্বাস ভেদু (৬২) ও হাফিজুর রহমান চপলকে (৪০) পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উথলী গ্রামের মৃত খলিলুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে আসাদুর রহমান বিশ্বাস ভেদু ও একই গ্রামের ফার্মগেট পাড়ার আকবার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান চপল। অভিযুক্ত একই গ্রামের মৃত আশকার আলীর ছেলে শাহাবুল ইসলাম ছোটন (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসাদুল ইসলাম ভেদু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহাবুল ইসলাম ছোটনের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেল করে এসে সেখানে দাঁড়িয়ে ছোটনের সাথে কথা বলার জন্য দোকানে মধ্যে প্রবেশ করতে যাওয়ার সময় আচমকা তাকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকেন ছোটন। এসময় একই বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান চপল হামলা ঠেকাতে গেলে তাকেও মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ছোটন পালিয়ে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আসাদুর রহমানকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে যশোর সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে লাঠির আঘাতে চপলের মাথায় ১১টি সেলাই দেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
উথলী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজারে নবনির্মিত বিশ্বাস প্লাজা সংলগ্ন স্থানে উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজার-বেগমপুর সড়কের পশ্চিম দিকে ছোটনের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান রয়েছে। তিনি আগের দোকানটি ভেঙে রাস্তার দিকে এগিয়ে নতুন করে দোকান তৈরি করেছেন। বিশ্বাস প্লাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আসাদুর রহমান বেশ কিছুদিন ধরে ছোটনকে তাঁর দোকানটি পূর্বের জায়গা থেকে দোকানটি একটু পিছিয়ে নিতে বললেও ছোটন তাতে কর্ণপাত না করায় মঙ্গলবার সকালে তিনি এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলছিলেন। এসময় আচমকা ছোটন কাঠের তৈরি মোটা লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। লাঠির আঘাতে আসাদুর রহমানের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বাজারের অপর ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান চপল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান চপল জীবননগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। ঘটনার পরপরই ছোটন তার দোকান বন্ধ করে চলে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।