আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনিরা ৩ জুন গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহতে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে শোক করছে। ছবি : এএফপি
জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ আহ্বান এলো। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারসহ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার প্রতি তাদের সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। তারা আরো বলেন, ‘এটি ফিলিস্তিন ও সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য একটি পূর্বশর্ত, যা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং রাফাতে সামরিক অনুপ্রবেশ বন্ধের মাধ্যমে শুরু হবে। একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল—উভয়ের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার একমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত পথ এবং প্রজন্মের সহিংসতা ও অসন্তোষের চক্র থেকে বেরিয়ে আসার পথ।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। এদিকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে বলেছিল, তারা গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল। তিনটি দেশ আরো বলেছে, তারা আশা করে, তাদের সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করবে। পরে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
অন্যদিকে ইসরায়েল বারবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছে, এ পদক্ষেপ সশস্ত্র ইসলামী গোষ্ঠী হামাসকে শক্তিশালী করেছে, যারা ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই হামলার পর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল আক্রমণ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের হিসাবে, ৭ অক্টোবরের হামলা তাদের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ হামলা। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি হয়েছে।