নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ‘ক্ষুদ্র ঋণের সুষ্ঠ ব্যবহার ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালয়ের শহর সমাজসেবা কার্যালয় সেমিনারের আয়োজন করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা বক্তব্য রাখেন। সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু তালেব প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
উন্মুক্ত আলোচনায় প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এনটিভির সাংবাদিক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক এমএম আলাউদ্দিন, প্রবেশন অফিসার মো. ছানোয়ার হোসেন ও এনজিও কর্মী মিম্মা মিতা অংশগ্রহন করেন।
সেমিনারে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ক্ষুদ্রঋণের সুষ্ঠ ব্যবহার ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মানোন্নয়ন, উপকারভোগী বাছাই ও ব্যবহার সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা? দক্ষতা উন্নয়ন যখন থেকে শুরু হয়েছে তার ফলোআপ থাকা দরকার। চাহিদা মাফিক প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে। যেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাতে হবে। গণমাধ্যম ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলে সেটি আপনারার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যে যার জায়গা থেকে সকলকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে। কল্যাণমুখী কাজে জেলা প্রশাসক পিছপা হবে না। সুন্দর চুয়াডাঙ্গা গড়তে অংশীজনদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সেমিনারে জানানো হয়, সমাজসেবা কার্যালয়ে শহর সমাজসেবা ১৯৯৮ সালে কার্যক্রম শুর করে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত টাইপ রাইটিং প্রশিক্ষণ ৩২৮২ জন, দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ২১২৫ জন, উল বুনন প্রশিক্ষণ ৬ জন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ৫২১৭ জন, আউট সোর্সি ২৭ জন এবং আমিনশিপ ৩০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন মূল বিনিয়োগ ১৩৮ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আদায়ের হার শতকরা ৯৮ ভাগ। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন পুন: বিনিয়োগে উপকারভোগীর সংখ্যা ২২১ জন। সর্বমোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৮ লাখ টাকা। আদায়ের হার শতকরা ৯১ ভাগ।