নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘চার বছরের সন্তানকে বাঁচাতে বাবা-মায়ের আকুতি’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনটি দেখার পর সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ হার্টের রোগে আক্রান্ত শিশু কন্যা সিনথিয়ার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে শুরু করে। এরই থারাবাহিকতায় গত রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিনথিয়ার বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এসময় জেলা প্রশাসক সিনথিয়ার চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা, শুকনা খাবার এবং চাউল প্রদান করেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার শিশু সিনথিয়ার চিকিৎসার অর্থ সহায়তা নিয়ে তার পাশে দাঁড়ালেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলার ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ- জোহরা নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে উপজেলার সকল দপ্তরের পক্ষ থেকে ৭৩ হাজার টাকা তুলে দেন সিনথিয়ার বাবা আলামিনের হাতে। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, আমাদের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রতিটি দপ্ত থেকে টাকা উঠিয়ে শিশু কন্যা সিনথিয়ার চিকিৎসা বাবদ তার বাবা আলামিনের হাতে ৭৩ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি সমাজের বিত্তবানদের শিশু সিনথিয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজজাদ হোসেন, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মৌমিতা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শিশুকন্যা সিনথিয়ার বয়স যখন মাত্র ১৫ দিন তখন থেকে হার্টের সমস্যা দেখা দেই। সিনথিার বয়স এখন ৪ বছর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সিনথিয়ার হার্টের অপারেশন না করালে দিন দিন মৃত্যরকোলে ঢলে পড়বে। চিকিৎসকরা আরো জানিয়েছেন সিনথিয়ার হার্টের অপারেশন করতে ৭-৮ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু সিনথিয়ার বাবা একটি সিট কাপড়ের দোকানের সামান্য কর্মচারী। সেই টাকা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে যায়। কিন্তু এত টাকা যোগাড় করে শিশুকন্যার চিকিৎসা তার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।