নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শ্যামল কুমার দাস (৭২) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা। ওই রাতে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের ধারনা, ওই বৃদ্ধ অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের খপ্পরে পড়তে পারেন। অতিরিক্ত চেতনাশক জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে বৃদ্ধের মৃত্যু হতে পারে। গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন (সিআইডি) ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করেন।
শ্যামল কুমার দাস সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার খোকশাবাড়ী গ্রামের শ্রী অনন্ত চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পেশায় ধোপার করতেন এবং এনায়েতপুর বাজারে লন্ড্রির দোকান ছিল বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্বরা অচেতন অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃদ্ধটির গায়ে ক্রিম কালারের ফতোয়া এবং ঘিয়ে কালারের চেক লুঙ্গী রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, রাতে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা অজ্ঞাত এক বৃদ্ধকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষন পরই তিনি মারা যান। অতিরিক্ত চেতনাশক জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে তার মৃত্যু হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি অজ্ঞাতপার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে বৃদ্ধের পরিচয় সনাক্ত করে সিআইডি পুলিশ। পরিবারকে খবর দেয়ার জন্য এনায়েতপুর থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।