আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার পোয়ামারী গ্রামের আব্দুস সালাম বাবুর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাবুর কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা বেগম বাবুর লাশ পোয়ামারীর বাড়িতে নিয়ে এলে তাকে মারধর করে প্রথম স্ত্রীর স্বজনরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ ও রেহানা বেগমকে থানা হেফাজতে নিয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠনো হয়।
গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, পোয়ামারী গ্রামের মৃত আওলাদ মন্ডলের ছেলে আব্দুস সালাম বাবু দীর্ঘ বছর প্রবাস জীবন শেষে বাড়ি ফিরে আদম ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ঢাকায় ১০ বছর ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। বাড়িতে স্ত্রী সন্তান রেখে একাই ঢাকায় থাকতেন। তিন বছর আগে পোয়ামারী গ্রামের হানিফের মেয়ে রেহানা বেগমকে ঢাকার বাড়িতে কাজের জন্য নিয়ে যান বাবু। একাধিক স্বামী পরিত্যক্তা রেহানার সাথে বাবু বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন বলেও দাবি করেছেন রেহানা।
রেহানা বেগম জানান, সোমবার মধ্যরাতে বাবু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় ভাড়া বাড়ির মালিক ও রেহানা বাবুকে নিয়ে ঢাকার কোনাবাড়ির একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষনা করেন।
এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রেহানা বেগম বাবুল মরদেহ আলমডাঙ্গার পোয়ামারীর উদ্দেশ্য রওনা দেন। গতকাল দুপুরের দিকে বাবুর লাশ গ্রামে পৌছলে প্রথম স্ত্রীর লোকজন রেহানা বেগমকে মারধর করে। এ পক্ষের দাবি বাবুর গলায় দাঁগ রয়েছে। তাকে রেহানা হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ তোলে।
সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ লাশ ও রেহানাকে থানা হেফাজতে নেয়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে রহস্য উন্মোচিত হবে।