নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীরে অসংখ্য বোমার স্প্রিন্টার নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামের নবিউল ইসলাম নবীন (৩৮)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এর আগে রাত ৯টার দিকে নাস্তিপুর গ্রামের নদীর ধারে বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাতে নাস্তিপুর গ্রামের নদীর ধারে বোমা বিষ্ফোরণের বিকট শব্দ হয়। এসময় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে গেলে একই গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নবিউল ইসলাম নবীনকে আহত অবস্থায় মাটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় তার শরীরে অসংখ্য বোমার স্প্রিন্টারের চিহ্ন দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার শারীরে অন্তত ৫২টি বোমার স্প্রিন্টারের ক্ষত পাওয়া গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আহত নবীন বলেন, প্রচন্ড গরমে নদীর ধারে হাটাহাটি করছিলাম। এসময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই। পরে বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারপাশ ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি সীমান্তে মাদক কারবারের সাথে জড়িত। ধারনা করা হচ্ছে, বোমা বানানোর পর তা মাটির নিচে পুঁতে রাখতে গেলে বিষ্ফোরিত হয়। এতেই সে আহত হয়।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আহত ব্যক্তিকে পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে।