নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ অভিযোগ উঠেছে চিৎলা গ্রামের ফরজ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরকারি এসব জমি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও আইনী প্রয়োগ না থাকায় প্রতিনিয়ত ওই স্থানটি ভূমিদস্যুদের পেটে যাচ্ছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ হারাতে বসেছে!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চিৎলা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে ফরজ শেখ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি দুটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। তার মতো এর আগেও একাধিক ব্যক্তি একইভাবে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। সরকারি এসব সম্পত্তি দখলের ওই চক্রটি মূলত সময় সুযোগ বুঝে ছুটির দিন কিংবা রাতারাতি অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে করেন। এসব সরকারি সম্পদ দখলের পর অন্য ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে আসছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন একাধিক সূত্র। প্রতিনিয়তই স্থানটির কোন না কোন সরকারি জায়গা এভাবেই বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত ফজর শেখ জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে আমাদের ১৪ বিঘা জমি দেওয়া আছে। সামনের পজিশন আমার দখলে রয়েছে। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার অনুমতি নেব? জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নলেজে দেওয়া আছে।
নাম প্রকাশ না করে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশে এভাবেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে সরকারি জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করার কাজ। এসব অসাধু চক্রটি প্রথমে সরকারি জমি দখল করে নিজেদের আয়ত্বে রাখেন, এভাবে বেশ কিছু সময় নিজের দখলে রাখার পর সেখানে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে অন্য ব্যাবসায়ীদের কাছে জামানত নিয়ে অনেককেই দিচ্ছেন ভাড়া। ফলে অসংখ্য সরকারি জমি দিনের পর দিন বেদখল হচ্ছে, আর অসাধু কিছু ব্যক্তি জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে হচ্ছেন লাভবান।
সচেতন মহল বলছেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের ডানে-বামে হাসপাতালটির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল পূর্বক বেশ কিছু দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যা অবৈধ। এতে করে একটি পক্ষ সরকারি এসব জমি দখল করে লাভবান হলেও দিনের পর দিন এসব সরকারি সম্পত্তি হচ্ছে বেদখল। এ বিষয়ে জরুরি ভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন।
ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি জানিয়েছেন, এটি সরকারি জায়গা। জানিনা কিভাবে সরকারি জায়গা দখল করে দুটি দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি যিনি করছেন তিনিই ভালো জানেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, সরকারি সম্পদ দখল করে কেউ যদি বেআইনিভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করেন তা হবে আইন বিরোধী। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।