নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘হার্টের রোগে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু কন্যা সিনথিয়া’ এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন দেখে অবগত হন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এ কারণে গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিনথিয়ার বাড়িতে ছুটে যান জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা মনির প্রমুখ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলামিনের ৪ বছরের শিশু কন্যা সিনথিয়া জন্মের পর থেকে হার্টের সমস্যা দেখা দেই। সম্প্রতি চিকিৎসক জানান যে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। অপারেশন বাবদ খরচ হবে আনুমানিক ৮ লাখ টাকা। সিনথিয়ার বাবা একটি কাপড়ের দোকানের সামান্য কর্মচারী। যেখানে সংসারের খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হয় সেখানে এত টাকা ব্যয় করে শিশু সিনথিয়ার অপারেশন করা অত্যান্ত দূরহ ব্যাপার। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার নজরে আসে। সে কারনে গতকাল রবিবার দুপুরে শিশু সিনথিয়ার বাড়িতে ছুটে যান জেলা প্রশাসক। এ সময় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা শিশু সিনথিয়াকে কোলে তুলে নেন। কথা বলেন সিনথিয়ার বাবা আলামিন, মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে। জেলা প্রশাসক শিশু কন্যা সিনথিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারী সহায়তা তহবিল থেকে ৩০ হাজার টাকার চেক, শুকনা খাবার এবং চাউল তুলে দেন সিনথিয়ার বাবা আলামিনের হাতে।
এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জােহরা বলেন, সরকারী সহায়তা বাবদ আজ যে টাকা প্রদান করো হলো তা অব্যাহত থাকবে। উপজেলা প্রশাসন শিশু সিনথিয়ার পরিবারের পাশে আছে বলেও জানান।
শিশু কন্যা সিনথিয়ার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এসময় সিনথিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে মানবিক সহায়তার আবেদনও জানান। তিনি জানান, সমাজের যে যেখান থেকে পারি আমরা সবাই যদি একটু একটু করে সহায়তা করি তাহলে সিনথিয়া সুস্থ্য হয়ে বাবা-মায়ের কোলে ফিরে আসবে। এছাড়া মানবিক বিষয়টি তুলে ধরার জন্য তিনি গণমাধ্যমের কর্মিদের ধন্যবান জ্ঞাপন করেন।