আলমডাঙ্গা অফিস:
জহুরুলনগর গ্রামের ইমরান হোসেন মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গায় আসছিলেন। পুলিশ সদস্য আশিক আলমডাঙ্গা থেকে ভোটের ডিউটি নিয়ে মোটরসাইকেলে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। বেলগাছি মালিথাপাড়ায় পৌঁছলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে ইমরানকে ঢাকার পঙ্গ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্য আশিককে নেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। গতকাল সোমবার বিকেলে ওই ভয়ংকর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঘোলদাড়ি ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আলমডাঙ্গা থেকে ভোটের ডিউটি নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। বেলগাছি গ্রামের মালিথাপাড়ায় পৌঁছলে অপরদিক থেকে আসা জহুরুলনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেনের মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ইমরানের একটি পা ভেঙে যায়। আশিকের পায়ের হাটু ও তালু মারাত্মকভাবে কেটে ছিড়ে যায় এবং তার হাতের একটি আঙ্গুলও কেটে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য আশিককে তার সহযোগীরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ইমরানকে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া বলেন, ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বেলগাছি গ্রামে অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষে আশিক আহত হয়। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।