নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট (২য়) আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তৌহিদুল ইসলাম তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদেরকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
ওই ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মন্টু মিয়া, সাঈদ বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান, সামসুল আলম এবং মাসুদ রানা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ২রা নভেম্বর ভোরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা মোড়ের যাত্রী ছউনির পাশে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তারা বিস্ফোরক দ্রব্য বোমা ও সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্য অবস্থান করছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় দামুড়হুদা থানা পুলিশেরর একটি দল। অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় বোমা সাদৃশ্য বস্তু, বিস্ফোরিত বোমা ও লাঠিশোঠা। পরে দামুড়হুদা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার ১৩ আসামী উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। গত ২৭ মার্চ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (২য়) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে, বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।