নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আখ চাষের ২ একর ৫ শতক জমি লিজ দিয়ে ৭২ হাজার টাকা নিজ পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে কেরু কোম্পানির প্রভাবশালী খামার ইনচার্জ এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে। তিনি কেরু কোম্পানির ডিহি কেষ্টপুর খামার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন। ডিহি কেষ্টপুর খামারের ইনচার্জ হওয়ার প্রভাব খাটিয়ে খোরশেদপুর খামারের কেরু কোম্পানি মালিকাধীন আখ চাষের জমি টেন্ডার ছাড়াই লীজ দিয়ে নগদ ৭২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এমদাদুল হক। এ ঘটনায় হতবাক স্থানীয় কৃষকরা।
দর্শনা কেরু অ্যন্ড কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির নিজস্ব মালিকানায় আখ চাষের জন্য প্রায় ৩ হাজার ৫৫৮ একর জমি আছে। তারমধ্যে ৯ টি বাণিজ্যিক খামারের আওতায় ৩ হাজার ৩৮৮ একর ও ১ টি পরীক্ষামূলক খামার রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, এর আগে প্রভাবশালী ফার্ম ইনচার্জ এমদাদুল হক খোরশেদপুর খামারের দায়িত্বে ছিলেন। খোরশেদপুরে থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন কৃষকের কাছে জমি লীজ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডিহি খামারে কর্মরত। ডিহি কেষ্টপুর খামারে দায়িত্বরত থাকলেও খোরশেদপুর খামারের এন ব্লকে ২২ একর আখ চাষের জমির মধ্যে ২ একর ৫ শতক জমি লীজ দিয়েছেন তিনি। এজন্য নিজের পকেটস্থ হয়েছে ৭২ হাজার টাকা।
সূত্র জানিয়েছে, লীজ গ্রহীতা জীবনের কাছে থেকে ৪ বিঘা জমি বাবদ ৩৬ হাজার টাকা, মোহাম্মদের কাছ ১৫ কাঠা জমির জন্য ১০ হাজার টাকা, মজিদের ১০ কাঠা জমির জন্য ১০ হাজার টাকা, মতলেবের ১০ কাঠা জমির জন্য ১০ টাকা, আনিসের ১০ কাঠা জমির জন্য ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই ফার্ম ইনচার্জ। বর্তমানে কেরু কোম্পানির ওই জমিতে আখের পরিবর্তে বেগুন ও মরিচের চাষ করা হয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেরু কোম্পানির ডিহি কেষ্টপুর খামার ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি নয় মাস আগে খোরশেদপুর খামার থেকে চলে এসেছি। আমার মনে পড়ছে না। কাদেরকে দিয়েছি আপনার কাছে নাম থাকলে নামগুলো বলেন।’ আগামীকাল আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন তিনি।