জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জের ধরে পরাজিত প্রার্থী এসকে লিটনের কর্মী সাহেদ হোসেনের (২৮) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের গোপালনগরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আটক দু’জন হলেন, মশিয়ার রহমান (৪৫) ও তার ছেলে সাগর হোসেন (২৫)।
জানা গেছে, গত বুধবার (৮ মে) সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী এসকে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে এবং হাফিজুর রহমান কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এ নির্বাচনে হাফিজুর রহমান বিজয়ী হন। নির্বাচনে পৌরসভাধীন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালনগর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এসকে লিটনের ভোট করেছিলেন। ভোটে পরাজিত হন তিনি।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লিটনের কর্মী সাহেদের সঙ্গে বিজয়ী চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সমর্থক একই এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে সাগর হোসেন, তার ছোট ভাই জীবন হোসেন ও সেলিম হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে কাঠের বাটাম দিয়ে সাহেদের মাথায় আঘাত করেন তারা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয় নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।