দামুড়হুদা অফিস:
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকা সত্বেও জোর করে উপস্থিত খাতায় স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেকের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ই মে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ছিলো। এ দিন মিটিংয়ে বিদ্যালয়টির অভিভাবক সদস্য উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের এনামুলের স্ত্রী রোকসানা বিবি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে হাজির হতে পারেননি। পরের দিন ৬ মে তিনি তার মেয়ের বিদ্যালয়ের কাগজপত্রের জন্য স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেক তাকে ডেকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিটিংয়ের খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর করে নেন।
এ বিষয়ে অভিভাবক সদস্য রোকসানা বিবির অভিযোগ, ওইদিন মিটিংয়ে কি এজেন্ডা ছিলো কি আলোচনা হয়েছে সেটাও আমাকে বলা হয়নি। আমি কিছুই জানিনা। এমনকি খাতায় কি লেখা হয়েছে তা আমাকে পড়তে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমার কাছ থেকে জোর করেই স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি শিক্ষা বোর্ডে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘স্কুলে আসেন কালকে। কি করে জোর করে সই নেওয়া হয়েছে দেখা যাবে।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বর মনির উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, গত ৫ তারিখের মিটিংয়ে আমি এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলাম। কোরাম পূরন না হওয়ায় সেদিন মিটিং করা সম্ভব হয়নি। তবে ৬ তারিখে আমি জানতে পেরেছি আমার কমিটির একজন অভিভাবক সদস্যকে জোর করে স্বাক্ষর করে নেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মিটিংয়ে অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার এখতিয়ার প্রধান শিক্ষকের নেয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। পরীক্ষার খাতা বিক্রি, শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহারসহ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির সাথেও তিনি অসাদাচারণ করেন।