নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সহিদুল ইসলামের বাড়িতে পটকা নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রায় ১৫ মিনিট ধরে পটকা বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার ৩ ঘণ্টা পর রঘনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সহিদুল ইসলাম উপজেলা রঘনাথপুর গ্রামের দামুড়হুদা মহাকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মৃত শওকত আলীর (পটা শওকত) ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সহিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়। নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু নির্বাচনে জয়লাভ করে। এদিন ফলাফল ঘোষনার পরদিন আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতে বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। রাত ১১টা ১৫ মিনিটের সময় হঠাৎ আমার বাড়িতে বিকট বোমার বিস্ফোরণের শব্দ শুরু হয়। এসময় বাড়ির বাহিরের আলোতে দেখি এমপি আলী আজগার টগরের মামাতো ভাই পল্টুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক এসে আমার বাড়ি ঘিরে চারিদিক থেকে পটকা বোমা মারছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে পটকা বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে তারা। পটকা বোমার বিস্ফারনের শব্দে আমি ও আমার পরিবার ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ি।’
সেদিন রাতেই বিষয়টি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হককে জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবিরকে এ ঘটনা জানায়।
পটকা বিস্ফোরণের ঘটনায় পল্টুর দাবী, নির্বাচন শেষে রাতে এলাকার কিছু ছেলেরা তার বাড়িতে পটকা মেরেছে। উনি আমাকে দোষ দিচ্ছে। আমি ছিলাম না। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। তাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। তিনি এখনো কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।