প্রচ্ছদ » অর্থ-বাণিজ্য » স্বস্তি নেই ব্রয়লার ডিম ও সবজির দামে

স্বস্তি নেই ব্রয়লার ডিম ও সবজির দামে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকালের (বৃহস্পতিবার) বাজার দরের সঙ্গে আজকের বাজার দরের বেশ পার্থক্য দেখা গেছে। বিভিন্ন সবজিতে কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। একই অবস্থা ডিম ও মুরগীর ক্ষেত্রেও। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে বাজার দরের এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল যে বেগুন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা আজ ৮০ টাকার কমে মিলছে না। ১৬০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। দিনের ব্যবধানে ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ব্রয়লারের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজি ও পণ্যের দামেও পড়েছে ছুটির দিনের প্রভাব।
গরু ও খাসির মাংসের বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। আর খাসির মাংস ৯০০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত।
গতকাল ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এক রাতে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির ডিম আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।
রাজধানীতে বাজার ভেদে কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করল্লা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিংগা।
শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচুর মুখী ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দুন্দল ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বাজার ভেদে পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। বড় আকারের ও জীবন্ত পাঙ্গাশ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বাজার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। নলা মাছ কিনতে কেজি প্রতি ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা টাকা পর্যন্ত। শিং মাছের দাম হাকা হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকা। তবে ৫০০ টাকার কমে শিং মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।
চিনির বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। লাল চিনির কেজি ১০০ টাকা। আলু ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা। রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি মুশুরের ডাল ১৩০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। ৫ টাকা বেড়ে দুই কেজির প্যাকেট আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা।