নিজস্ব প্রতিবেদক:
অস্থির বাজারে ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফার পথ বন্ধ করতে নয়টি নিত্যপণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্যতালিকা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন। অস্থির বাজারের লাগাম টেনে ধরতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ট্যারিফ কমিশনকে ১৫ দিন সময় দিয়েছি। আরও হয়তো সাত দিন সময় লাগবে এ কাজে। ইতোমধ্যে খাবার, স্টিলসহ ৯টি পণ্যের দাম ঠিক করে দিয়েছি, যাতে ব্যবসায়ীদের অনৈতিক সুযোগ নেওয়া কমে যায়। মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যপণ্য, তেল, স্টিলসহ আরও কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখছে। মুরগির খাদ্য, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য দাম বিবেচনায় রেখে ডিমের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করে দেবে মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই তেলসহ দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। তাই দেশেও বাড়ছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মালিকরা যে পরিমাণ লাভ করছেন, শ্রমিকরা তার ন্যায্য পাচ্ছে কি না সে বিষয়টি গবেষণা করে দেখতে হবে। অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে শ্রম মন্ত্রণালয়কে মজুরি বোর্ড গঠন করে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে দাম বাড়ছে তাতে শ্রমিকদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য আলাদাভাবে ওএমএস চালুর আশ্বাস দেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের ঘামের মূল্য রক্তের মূল্যের চেয়ে কম নয়। শ্রমিক এবং মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজ তৈরি পোশাক খাত বর্তমান অবস্থানে এসেছে। শ্রমিক ও মলিক উভয়ের স্বার্থ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পণ্যের উপযুক্ত মূল্যও নিশ্চিত হওয়া দরকার। প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য এ দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।