নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। চলে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। বৃষ্টির সাথে ছিল শিলা ও বজ্রপাত। বয়ে গেছে দমকা বাতাসও। এর আগে গতকাল সকাল চুয়াডাঙ্গার আকাশে ছিল মেঘের লুকোচুরি। দুপুর ৩টা থেকে মেঘের আনাগোনা বেড়ে যায়। এরপর ঝরতে থাকে বৃষ্টিধারা। এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টির পর শান্তির পরশ ছুঁয়ে যায় জনজীবনে। কমে যায় গরমের অনুভূতিও। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ২৪ মিলিমিটার আর শিলা রেকর্ড করা হয়েছে যার ডায়ামিটার ১ সেন্টিমিটার।
গত এপ্রিল মাসজুড়ে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র আকারের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। গত এক মাসের মধ্যে মাত্র ৪দিন স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছিল এ জেলায়। টানা এ খরতাপের মধ্যে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছিল মানুষ। অবশেষে সেই বহুল কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মেলায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। অনেকে বৃষ্টি বিলাশে মেতে ওঠেন। অনেকে আবার শান্তির পরশ ছুঁতে বৃষ্টির পানিতে গা ভেজান।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকার চা দোকানী আশাদুল আলম জানান, সকাল থেকে আকাশে মেঘ থাকলেও ভ্যাপসা গরম ছিল। কিন্তু দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হলে পরিবেশ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। খুব গরমের কষ্ট মুছে গেল এক বৃষ্টিতেই।
বেসরকারি চাকরিজীবী আহসানুল হক জানান, চুয়াডাঙ্গায় গরমের অনুভূতি অনেক বেশি। দিন রাতে যেভাবে গরম সহ্য করতে হলো আজকের দিনটা অন্তত ভালো কাটবে। বৃষ্টির পরশে হিম হিম বাতাসে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও আগে থেকেই বৃষ্টি ও ঝড়ের খবর পাওয়া গেলেও সোমবার দুপুরের পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আগামী ১২ মে পযন্ত বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।