নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০২২ অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আয়োজনে ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) উপসচিব মো. আব্দুর রহমান।
কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন। চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গা টিটিসির অধ্যক্ষ মোসাব্বেরুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক রাজিব হাসান কচি, বিপুল আশরাফসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ। কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অ্যাসেসমেন্ট এক্সপার্ট সাইফ উদ্দীন।
মুখ্য আলোচক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) উপসচিব মো. আব্দুর রহমান বলেন, দেশীয় আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সুদূরপ্রসারী জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে প্রণীত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন (এনএসডিএ) এর মাধ্যমে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে যাত্রা শুরু হয়। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ভীষণ নিয়ে গঠিত এনএসডিএ এর উল্লেখযোগ্য কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ননীতি কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন প্রশিক্ষণ পাঠক্রম এবং তার বাস্তবায়নে সমন্বয় পরিবিক্ষিন ও মূল্যায়ন আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ এবং খাত ভিত্তিক দক্ষতা তথ্য ভান্ডার প্রতিষ্ঠা করা, দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল প্রকল্পভিত্তিক পারস্পরিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা, আইএসসি গঠন করে শিল্প সংযুক্তি করণ শক্তিশালী করা। দক্ষ উন্নয়ন প্রশিক্ষণের নিবন্ধন করা। দক্ষতা কার্যক্রমের প্রচারপ্রসারের মাধ্যমে যুবসমাজকে দক্ষতা প্রশিক্ষণে সম্পৃক্ত করা।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভুত হয়ছে। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করছেন তার সুযোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সূদুরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অদম্য এক সাহসের গল্প। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা।
তিনি আরও বলেন, প্রণীত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চাহিদাভিত্তিক, নমনীয় এবং সংবেদনশীল হওয়ায় তা আদর্শমানের এবং যুগোপযোগী। প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ছাড়াও পরীক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজও করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন এবং শিল্প দক্ষতা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে শিল্প সংযুক্তিকরণ কাজও করছে কর্তৃপক্ষ। ২০২৭ সালের মধ্যে ৮৬ লক্ষ দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে চাই আমরা।
কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দক্ষতা উন্নয়নে চুয়াডাঙ্গায় সম্ভাবনা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।