আকাশ খবর ডেস্ক:
মাসখানেক ধরে চলা টানা দাবদাহের পর কিছু স্থানে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কিছুটা তাপমাত্রা কমেছে। এর পরও গতকাল রবিবার ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আজ সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, লঘুচাপের প্রভাবে আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে। আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সারা দেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যেই অবশ্য আগামী সপ্তাহেই আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা জানানো হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের তালিকায় কয়েক দিন শীর্ষে থাকা চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঢাকায় ৩৬.৯, রংপুরে ৩৩.২, ময়মনসিংহে ৩৪.৫, সিলেটে ৩৪, চট্টগ্রামে ৩৪.১, খুলনায় ৩৭.২ ও বরিশালে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহে, ৮৩ মিলিমিটার। খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মৃত্যু ৪
এদিকে খাগড়াছড়ির কয়েকটি স্থানে গতকাল এক দিনেই বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ভোরে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারি পাড়ায় বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে নিজ ঘরে থাকা সমিকা ত্রিপুরা (২৬) দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় তাঁর দুই সন্তান অর্পণ ত্রিপুরা (৩) ও অহনা ত্রিপুরা (৬) দগ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু দুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি এলাকায় বজ্রপাতে ঘরে আগুন লেগে হাসিনা বেগম (৩০) ও তাঁর ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রামগড়ে গরজ চাকমা (৫০) নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়।