আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৭ বছরের শিশুকন্য মাইশার মৃত্যু বিদ্যুতস্পৃষ্টে হয়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাদিয়া ওই রিপোর্ট প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে গত ৩ মে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাইশা খাতুন (৭) নামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মোবাইল চার্জার নিয়ে খেলতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাইশা খাতুন ভোগাইল বগাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের নাতনী। মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলে মায়ের সাথে মাইশা নানা বাড়িতেই অবস্থান করতো। মাইশা খাতুন মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরিবার ও প্রতিবেশিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১লা মার্চ উপরোক্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে, হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে মাইশার নানা, নানি ও মামা পানবরজে কাজ করতে যান। সকালে তার মা রান্না করছিলেন। এক সময় ঘরে গিয়ে দেখতে পান মাইশা মেঝেতে পড়ে আছে। তার গলায় মোবাইল চার্জারের তার জড়ানো। এটা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়তো শিশুকন্যা মাইশার মৃত্যু হয়েছে।