শেখ লিটন:
সপ্তাহের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার বাজারে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সব ধরনের সবজি, পেঁয়াজ, রসুন ও মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণহীন। তীব্র দাবদাহের অজুহাত দেখিয়ে সবজির বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে উল্টো চিত্র মাছের বাজারে। গত এক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা শহরের নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে এখানও কমেনি সব ধরনের সবজির দাম। কেজি প্রতি সবজির দাম ১০ টাকা বাড়তি। প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে- এ অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরছেন বিক্রেতারা। গত সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এক কেজি পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে তা আরও ১০-১৫ টাকা বেশি। রসুনের দামও বেড়েছে ১০ কেজিতে, খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি হয়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। দাম স্বাভাবিক রয়েছে আদা ও আলুসহ অন্যান্য কিছু কাঁচা পণ্যে।
সপ্তাহ ঘুরে আবারও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে নিম্নআয়ের মানুষের আমিষ পণ্য ব্রয়লার, প্যারিস সোনালি ও দেশি মুরগির। এসব আমিষ পণ্যে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বাড়তি। গেল ঈদের আগে থেকেই গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি ও খাসির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা অনেকটাই আমিষ পণ্যের স্বাদ নিতে পারছেন না। তবে গেল দুই সপ্তাহ ধরে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে মাছের বাজার। আমদানি ভালো হওয়ায় মাছের দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আছে।
এদিকে, আবারও দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন লিটার তেলের। এক লিটারে ৪ টাকা বাড়তি হয়ে ১৬৭ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেটজাত সব ধরনের মসলায় ৫ টাকা বাড়তি ও অন্যান্য সব ধরনের প্যাকেটজাত পণ্যে ২ টাকা বাড়তি। তবে দাম স্বাভাবিক রয়েছে সব ধরনের ডাল,চাল ও আটার দাম।
বাজার করতে আসা এক ক্রেতা জামসেদ আলী বলেন, বাজারে সব জিনিস পত্রের দাম বেশি। সপ্তাহে প্রতিটা জিনিসপত্রের দাম উল্টা-পাল্টা হয়। গরু ও খাসির মাংস দাম আর মনে হয় না কমবে। সেই সাথে মুরগির দামও যদি বাড়তে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষরা আমিষ পণ্য আর কিনতে পারবে না। সব জিনিসের দাম স্বাভাবিক হওয়া উচিত।
আরেক ক্রেতা মোহাম্মদ সুমন বলেন, ঈদের আগে বাজার তো আগুন ছিল। এখনও সেই একই অবস্থা। বাজারে সবজির দামটা অনেক বেশি। ৩০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। সরকার ও প্রশাসন যদি কঠোর পদক্ষেপ নেয় তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে কথা হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন, বাজার স্বাভাবিক আছে। এসময় সবজির দাম স্বাভাবিকভাবেই একটু বাড়ে। আর মাংসের দামটা সহনীয় পর্যায়ে আনার পরিকল্পনা আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং অব্যহত আছে।