নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গার জামজামিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতে হঠাৎই এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মাঠের অন্তত ১৫ বিঘা পান বরজ ও কলার বাগান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের শ্রীনগর-নারায়ণপুরে গ্রামের ধাবগাড়ির ফসলি মাঠে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
স্থানীয়রা জানায়, আনুমানিক রাত ৮টার দিকে হঠাৎ পানের বরজে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা মাঠের পর মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১টা বেজে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের নেফাজ উদ্দিনের পানের বরজে প্রথম আগুন ধরে। এরপর আলী হোসেনের বরজ হয়ে মুহূর্তেই সে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং একের পর এক বরজ পুড়তে থাকে। আলমডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেফাজউদ্দিনের ৩ বিঘা, আলী হোসেনের ১০ কাঠা, মানোয়ার হোসেনের ১৫ কাঠা, খাজা উদ্দিনের ৫ কাঠাসহ ২১ জন কৃষকের পানের বরজ এবং আদম আলীসহ ৫ জন কৃষকের কলাখেত পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে ফোন দেওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আসে। পানিবাহী গাড়িতে কোনো পানি ছিল না।
তবে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. আল মামুন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দল রওনা দেয়। কিন্তু ঘটনাস্থল ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এবং সড়কটিতে নির্মাণকাজ চলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা খাতুন, ২৬ জন কৃষকের মোট ১৫ বিঘা জমির পান ও কলাখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা হচ্ছে।