জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া চেক ফেরতকে কেন্দ্র করে দুইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বে ভাই ও ভাতিজা আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ার বাজারপাড়ায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, জালাল উদ্দীন ও আব্দুল হালিম নামের চারজন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, জালাল উদ্দিন ও আব্দুল হালিম রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আব্দুল হালিম বলেন, আমার চাচা সালাউদ্দিন ঢাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করেন। আমি জামিনদার হিসাবে তাকে অগ্রণী ব্যাংক শাখায় আমার হিসাব নম্বরের চেক প্রদান করি। চাচা ব্যাংকে টাকা পরিশোধ শেষে আমার দেয়া চেক ব্যাংক থেকে নিয়ে আমাকে বিপাকে ফেলতে আমার প্রতিপক্ষ লন্ড্রী লিটনের নিকট দিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। এক পর্যায়ে আমি মঙ্গলবার ৬ টার দিকে চেক ফেরত চাইলে আমার চাচা মোল্যা সালাউদ্দিন, মোল্যা জালাল উদ্দিন, চাচাতো ভাই রাজিব, রিয়াজ, লন্ড্রী লিটন ও চাচী রোকেয়া খাতুন আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার বাবা আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে ও মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তারা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেন।
সালাউদ্দিন বলেন, চেক নিয়ে কোন সমস্যা নয়। আমাদের ভাইয়ে ভাইয়ে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। সেই ঘটনায় আমার ভাই মোল্যা আলাউদ্দিন ও ভাইপো আব্দুল হালিম হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় আমার ওপর হামলা করে আমাকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। আমার কানে কামড় দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমার জানা মতে সালাউদ্দিনের ব্যাংক ঋণের সময় জামিনদার হিসাবে আব্দুল হালিম ব্যাংকের দুইটি চেক দিয়েছিল। কিন্তু ঋণ পরিশোধ হলেও চেক দুইটি আর সালাউদ্দিন ফেরত দেয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমরা বিষয়টি স্থানীয় সালিস বৈঠকে চেক দুইটি ফেরত দেয়ার কথা বলা হলেও পরে আর ফেরত দেয়নি। চেক দুইটি বর্তমানে লন্ড্রী লিটনের নিকট রয়েছে এবং তা দিয়ে লিটন আদালতে একটি মামলাও করেছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জাবীদ হাসান বলেন, ঘটনার ব্যাপারটি আমি শুনেছি। পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে পরিস্থিতি বর্তমান স্বাভাবিক আছে।