আলমডাঙ্গা অফিস:
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশে(দুবাই) গিয়ে খুন হওয়া আলমডাঙ্গা কুমারীর কাজলী খাতুনের লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৭টায় দুবাই থেকে কাজলীর লাশ বাংলাদেশ বিমান বন্দরে পৌঁছায়। বিমান বন্দরের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকাল সন্ধ্যায় কাজলী খাতুনের লাশ আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। লাশ বাড়িতে পৌছলে স্বজনদের কান্নায় কুমারী গ্রামের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সকলেই কাজলীর হত্যাকারী সুপারভাইজারের কঠিন শাস্তির দাবী করতে থাকে। কাজলীকে শেষবারের মত এক পলক দেখার জন্য সবাই ছুটে আসে। কাজলী খাতুনের লাশ রাত ১০ টার পর জানাযা নামাজ শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে দুবাই কোম্পানির সুপার ভাইজারের সাথে বাড়িতে বেতনের টাকা পাঠানোকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় সুপারভাইজার লোকমান গোসেন মদের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে কাজলী মারা যায়। নিহত কাজলী খাতুন(২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কুমারী গ্রামের তছের আলীর মেয়ে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মেঝ মেয়ে কাজলী। কাজলীর মা ও বাবা মেয়ের শোকে পাগল প্রায়। কান্না করতে করতে মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে মা ও বড় বোন। জানাগেছে, কাজলীর পিতা ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যান চালক। কাজলীরা চার ভাইবোন। পিতার অভাব অনাটনের সংসারের হাল ধরতে ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করতে যায় কাজলী। কয়েক বছর কাজ করার পর হঠাৎ কোন এক মাধ্যমে দুবাই চলে যায় সে। পরিবারের সাথে ঈদ করতে গত ৬ রমজানে বাড়িতে আসে কাজলী। ঈদের আগে কোম্পানি থেকে ফোন করলে কাজলী ২৬ রমজান আবার দুবাই চলে যায়। নিহত কাজলীর পিতা তছের আলী জানান, কাজলী ও তার ছোটবোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করতো। এরপর কাজলী দুবাই চলে যায়। এমাসে তার বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা ছিল। কাজলী সুপারভাইজারের কাছে বেতনের অনেক টাকা পাবে। সুপারভাইজারের সাথে টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় তাকে মেরে ফেলেছে। সুপারভাইজার লোকমান হোসেন ওরফে সাইকোর বাড়ি বাংলাদেশে। তিনি তার মেয়ে কাজলীর হত্যাকারি সুপারভাইজারের বিচার চেয়েছেন।