নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর কিছুটা কমেছে তাপমাত্রার পারদ। ৪০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে এ জেলার তাপমাত্রা। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। অধিকাংশ সময় মেঘলা ও বাতাসের কারণে জেলার মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে আজ থেকে তাপমাত্রা আবারো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে। এর আগে জেলায় সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি ও শনিবার (২০ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল জেলায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মেঘের কারণে অন্যান্য জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কম। তবে আজ থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, জেলায় তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ধর্মীয় বয়ান শেষে দুই রাকআত সুন্নতের সালাতুল ইসতিসকার নামাজ শুরু হয়। এরপর আরবী খুতবার পর আল্লাহর দরবারে হাত তোলেন মুসল্লিরা। মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহুম্মা আল্লাহুম্মা ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে টাউন মাঠ প্রাঙ্গণ। এসময় বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করা হয়। চোখের পানি ফেলে কান্নায় বৃষ্টি প্রার্থনা করেন অনেকে।
এতে সভাপতিত্ব করেছেন সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা বশির আহমাদ, ইমামতি করেছেন সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা নুরুদ্দীন। নামাজ পূর্ব জমায়েতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সেক্রেটারী মাওলানা শফিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সারওয়ার হুসাইন, মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা ফয়জুল্লাহ আল মুনির, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা জহির, মাওলানা আব্দুল হাদী, মাওলানা রইসুল ইসলাম, মাওলানা ওয়াহেদুজ্জামান, মাওলানা জামালুদ্দিন প্রমুখ।
সম্মিলিত উলামা কল্যান পরিষদের সাধারন সম্পাদক মাও. শফিকুল ইসলাম বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির সময় আমাদের মহানবী (সা.) সাহাবীদের সাথে নিয়ে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন। তাঁর দেখানো পথে আমরাও এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছি। এই তীব্র তাপের মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি প্রয়োজন।