নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় অননুমোদিত-বেপরোয়া যানবাহন প্রতিরোধে মোবাইলকোর্ট চলাকালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পুলিশের এক এএসআইসহ মোটরসাইকেলে থাকা তিন কিশোর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এএসআই রতন ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোটরসাইকেলে থাকা কিশোরদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, তিন কিশোর এক মোটরসাইকেলে চড়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে দ্রুতগতিতে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছিল। দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের চালককে থামতে সংকেত দেয়। তা দেখে তারা মোটরসাইকের গতি বাড়িয়ে আরো দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় দায়িত্বরত এএসআই রতন ইসলাম মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে আহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা তিন আরোহীও রাস্তার পাশে পড়ে আহত হয়। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মোটরসাইকেলে থাকা আহতরা সকলেই মেহেরপুর জেলার পিরোজখালি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলো, সমির আলীর ছেলে মাহফুজ, নাসির আলীর ছেলে শাহিন ও আরিফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবির হোসেন আহত পুলিশ সদস্যকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে যান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ আরও জানান, মোটরসাইকেলের আরোহীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের মুচলেনা নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।