নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিকাশসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিসে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ৩৪ টি স্মার্ট মোবাইলফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে উদ্ধার করা টাকা ও মোবাইল প্রকৃত মালিকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা)।
পুলিশ জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন এবং বিকাশসহ মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিসে ভুল নম্বরে যাওয়া টাকা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিভিন্ন মডেলের ৩৪ টি স্মার্টফোন এবং মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিসে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে তাদের প্রকৃত মালিকগনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় হারানো মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিসে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ও প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা হাতে পেয়ে ভুক্তভোগীরা আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ইনচার্জ মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খাঁন, ওসি ডিবি ফেরদৌস ওয়াহিদসহ পুলিশ সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী তমাল হোসেন বলেন, ডিঙ্গেদহ বাজারে আমরা বিকাশের এজেন্ট হিসাবে টাকা লেনদেন করি। অপরিচিত এক ব্যক্তি আমার এজেন্ট নম্বরে ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে। আমি তাকে ওই টাকা প্রদান করার পর ব্যালেন্স চেক করে দেখতে পারি আমার এজেন্ট নাম্বারে টাকা ব্যালেন্সে যোগ হয়নি। ভুয়া মেসেজ দিয়ে প্রতারণা করে আমার কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের শরণাপন্ন হলে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় আমার টাকা উদ্ধার করে ফেরত আনতে সক্ষম হয়।