নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগর গয়েশপুরে জমি থেকে জোর পূর্বক ভূট্টা ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে ৩ জন রক্তাক্ত জখমসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জীননগর থানায় ১১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মিজানুর (৫২), ফরমান (৩৩), রাকিব (১৭) এবং রেজাউল (৪২) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত সোমবার বাড়ি ফিরে গেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত আলামিন (২৭) যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। গত শনিবার সকালে জীবননগর থানার শেনের বাড়ি মাঠে ভূট্টারক্ষেতে ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজেহার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মৃত জাহার আলীর ছেলে সলেমান হোসেন (৫৯) ও তার ভাই বোনরা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত একই উপজেলার শেনেরগাড়ি মাঠের ৫৯ শতক মাঠাল জমি নিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। চলতি মরসুমে সলেমান উক্ত জমিতে ভূট্টার আবাদ করেন। গত ২৩ মার্চ সকাল ৮ টার দিকে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত মল্লিক মন্ডলের ছেলে জানুত আলী তার লোকজনকে সাথে নিয়ে উক্ত ভূট্টার জমিতে যায় এবং জোর পূর্বক ভূট্টা ভাঙ্গা শুরু করে। খবর পেয়ে জমির মালিক সলেমান হোসেন তার অন্যান্য ভাইদের সাথে নিয়ে জমিতে যায় এবং ভূট্টা ভাঙতে নিষেধ করে। এরই এক পর্যায়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জানুত আলীসহ (৪২), তার অপর ৩ ভাই রুমাত আলী (৪০), শরীফ (৪৫) ও জাহিদুল ইসলাম (৫৫), জাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে হামিদুল (৩০) ওমেদুল (২৮), ভাতিজা শরীফ উদ্দীনের দুই ছেলে দবিরুল (২৮) ও চন্দন (২৬) এবং লাল মিয়া ওরফে হারান, তার দুই ছেলে ফিরোজ (৩৫) ও সেলিমসহ (৩২) অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সলেমান ও তার ভাইদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে রক্তাক্ত জখম মিজানুর (৫২), ফরমান (৩৩), রাকিব (১৭) এবং রেজাউলকে (৪২) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং গুরুতর আহত আলামিনকে (২৭) উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠানো হয়। আহত মিজানুর, ফরমান, রাকিব ও রেজাউল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও আলামিন এখনও পর্যন্ত যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই জামাল হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলমান আছে।