নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ও সকাল সোয়া ৮টায় দামুড়হুদার নাটুদহ আটকবরে আট শহীদের স্মরণে পুস্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকাল ৪ টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী গৌরবোজ্জল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুইলক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার জনগণ অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতাযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ স্বাধীনতাযুদ্ধের সূতিকাগার বলা হয় এই চুয়াডাঙ্গাকে। প্রথমেই চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয় এবং ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনারা এ সিদ্ধান্ত জেনে ফেললে চুয়াডাঙ্গার উপর পরিকল্পিতভাবে অত্যাচার বাড়ানো হয়। পরে কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গা থেকে সরিয়ে মুজিবনগরে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যাঁর কালজয়ী সংগ্রাম ও দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। সেই সাথে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, জাতীয় চার নেতাকে যাদের ত্যাগ, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিলো মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চেতনা এবং দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও এ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, জেলা যুব লীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, সাজিদুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান হাপু, আলমগীর আজম খোকা, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী মাসুম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: শাহাজাদি মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, মোমিন, সোয়েব রিগান, রকি, রেজোয়ান, সোয়েব স্বাধীন, মুন্না আজম, রিমন, রানা, রিয়নসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।