নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষে আতশবাজি ফুটানোয় শিক্ষার্থীদের মৌখিকভাবে শাসন করায় শিক্ষকের বাড়িতে আতশবাজি ও নিজের মল নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। গত রবিবার এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল সোমবার অভিযুক্ত ৯ শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয় সকাল পৌঁনে ১০টায়। গত রবিবার সকালে ৯টা ৪০ মিনিটে ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে আতশবাজি ও পটকা নিক্ষেপ করে। এদিন ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ম্যানেজিং কমিটির নিয়মিত মিটিংয়ে এক সদস্য শিক্ষার্থী কর্তৃক খাড়াগোদা চিত্রা নদীর উপর ব্রিজে মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে ইভটিজিংয়ের শিকার হয় সে বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় এক শিক্ষক জানান আজও (রবিবার) শ্রেণি কক্ষে দুইটা আতশবাজি ও পটকা ফুটানো হয়েছে। সভাপতির নির্দেশে বিদ্যালয়টির শিক্ষক হারুন অর রশিদ, জাহিদুল ইসলাম ও আবজুল ইসলাম ভোকেশনাল বিভাগের নবম ও দশম শ্রেণির কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আতশবাজি ফুটানো শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে সভাপতির কাছে নিয়ে আসা হয়। এসময় ওই শিক্ষার্থীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং আগামীতে এমন কাজ করবেন না বলেও শপথ করেন।
অভিযোগ উঠেছে, গত রবিবার রাতেই ওই শিক্ষার্থীরা খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হারুন অর রশিদের খাড়াগোদা গ্রামের নিজ বাড়ীতে রাতের আধারে দুই প্যাকেট আতশবাজি বাড়ীতে নিক্ষেপ করেন। সাথে গোবরের মল ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের মল কচু পাতার মাধ্যমে শিক্ষকের বাড়িতে নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা এমন কান্ড ঘটিয়েছে। গতকালের ঘটনার পরই আমি তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পে বিষয়টি অবহিত করেছি। কোন শিক্ষার্থীকে তিনি চিনতে পেরেছিলেন নাকি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ, দশম শ্রেণির মিরাজ, অষ্টম শ্রেণির আশিক, রিহাজ, রাব্বি, ইয়ামিন, আলিফ, মাহফুজ ও শাওন নামের ৯ শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে তিনি প্রতিষ্ঠান বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কার বিষয়ে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহারুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মৌখিকভাবে ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, গত রবিবার আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকাকালিন সময়ে পটকা ফোটানোর ঘটনা ঘটে। আমি তিন শিক্ষককে বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিলে তারা অভিযুক্ত ৯ শিক্ষার্থীকে আমার সামনে নিয়ে আসেন। শিক্ষার্থীরা ভুল স্বীকার করলে আমি তাদের সাধারণ ক্ষমা করে দিই। এরপরই ওই শিক্ষার্থীদের চার্জ করা শিক্ষক হারুন অর রশিদের বাড়ীতে রাতে নিজেদের মল-গোবর, পটকা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা আসলে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ বিষয়ে আমরা বিদ্যালয়ে একটি সভা করব। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হ