নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল দুপুর ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ বাংলাদেশের মানুষজনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন- যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য। কিন্তু ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র পুরো জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে ঘোষণায় বাংলার আপামর জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল কোনো অস্ত্র ছাড়াই। সেই রাতের নির্মম গণহত্যার নিন্দা পুরো বিশ্ব জানিয়েছিল।
এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আরও বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা ছিল দেশের ইতিহাসে বর্বরোচিত এবং ন্যক্কারজনক হামলা। মধ্যরাতে পেছনের দরজার ষড়যন্ত্র সফলের জন্য এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় হানাদার বাহিনী। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পূর্বপরিকল্পনা ছিল বাঙালি জাতিকে নিঃশেষ করা, বর্বর জাতিতে পরিণত করা। কিন্তু বাঙালি জাতি ভীত নয়। সাহস ও বলিষ্ঠতার সঙ্গে বীরদর্পে এগিয়ে যায়। মহান স্বাধীনতার যুদ্ধ তারই প্রমাণ। মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর বাঙালি দেশ স্বাধীন করে ফেলেছিল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী মাসুম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজিদুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান হাপু, আলমগীর আজম খোকা, জেলা যুব লীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, মহিলা নেত্রী জাহানারা বেগম, শাহানাজ দুরি, জেলা যুবলীগ নেতা সৈকত, শেখ সেলিম, টুটুল, ফয়েজ সুমন, আনোয়ার, নূরনগর বিএডিসি শ্রমিক নেতা মোমিন, জেলা ছাত্র লীগ নেতা সোয়ব রিগান, রানা, রিওন জোয়ার্দ্দারসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।