আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। আচমকা শুরু হয় প্রসব বেদনা। অসহ্য যন্ত্রণা হলেও চলন্ত ট্রেন হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে হাসপাতাল বা কোনো চিকিৎসকের কাছে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
আর এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন একই ট্রেনে ভ্রমণরত এক মেডিকেল শিক্ষার্থী। ট্রেনের ভেতরেই অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর সন্তান প্রসব করেন তিনি। মঙ্গলবার ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের আনকাপল্লিতে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের সেকেন্দরাবাদ দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। আর ট্রেনের মধ্যেই সন্তান প্রসব করা ওই তরুণী মেডিকেলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। ভ্রমণের সময় আচমকা তার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। চলন্ত ট্রেনে কী করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না পরিবারের লোকজন। এই অবস্থায় নিজে থেকে এগিয়ে এলেন মেডিকেলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এক তরুণী। তার সাহায্যে সন্তান প্রসব করলেন ওই নারী। মূলত আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের বাসিন্দা ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী সেকন্দরাবাদ দুরন্ত এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন অন্য আত্মীয়রা। আনকাপল্লি স্টেশন পার হওয়ার সময় হঠাৎ প্রসববেদনা শুরু হয় ওই নারীর। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না ওই নারীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়রা। ওই সময়ে এক তরুণী নিজে থেকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি এক জন মেডিকেল শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে ওই তরুণীর প্রচেষ্টায় চলন্ত ট্রেনে সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। এতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তার পরিবারের লোক জন। ওই তরুণীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা। সহযাত্রীরাও ওই মেডিকেল শিক্ষার্থীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পরে জানা যায়, ২৩ বছর বয়সী ওই মেডিকেল শিক্ষার্থীর নাম সাথী রেড্ডি। তিনি একটি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্রী। কোনো ধরনের চিকিৎসার সরঞ্জাম ছাড়াই যে সাহসের সঙ্গে তিনি অন্তঃসত্ত্বাকে সাহায্য করেছেন, তাতে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারাও। এদিকে নবজাতক সন্তান এবং প্রসূতি মা দু’জনেই সুস্থ আছেন। সাহসী এই মেডিকেল শিক্ষার্থী জানান, তিনি শুধু নিজের দায়িত্বটুকু পালন করেছেন।